তুসিনের জল-জোছনা

  • জোছনার নীড়
  • আমার আমি
  • লেখার বিষয়গুলো
    • ডায়েরী
    • সাহিত্য
      • কবিতা
      • গল্প
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • ছবির মেলা
    • অসুখ-বিসুখ
    • অসাধারন জীবনগাথাঁ
    • হুমায়ন আহমেদ
    • স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
    • প্রতিদিনের দিনলিপি
  • টেকি কাব্যগুলো
    • নিউজ
    • বিশেষ ফিচার
    • রিভিউ
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • টিপস এন্ড ট্রিকস
    • ওয়াডপ্রেস
  • প্রয়োজনীয় লিংক
    • ইংরেজি টেক সাইট
      • বিবিসি টেকনোলজি
      • ম্যাশবল
      • দ্যা ভার্জি
      • দ্যা নেক্সট ওয়েব
      • রয়টার্স টেক
      • টাইম অব ইন্ডিয়া টেক
      • ফোনএরিনা
      • জিএসএম এরিনা
    • বাংলা টেক সাইট
      • টেকশহর
      • প্রিয় টেক
      • বিডিনিউজ টেক
      • প্রথম আলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • কালের কন্ঠ তথ্য-প্রযুক্তি
      • বাংলা ট্রিবিউন টেক-গ্যাজেটস
      • বনিকবার্তা টেলকম-প্রযুক্তি
      • সমকাল প্রযুক্তি
      • টিউনার পেইজ
      • হাইফাই পাবলিক
      • পিসি হেল্পলাইন বিডি
      • জেনিসব্লগ
      • সোর্স টিউন
      • শিক্ষক.কম
      • টেকটিউনস
      • অ্যান্ড্রয়েড কথন
      • বিডিড্রয়েড
    • বাংলা সংবাদপত্র
    • বাংলা ম্যাগাজিন
    • সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা
    • বাংলার বাইরের পত্রিকা
    • জনপ্রিয় বিদেশী পত্রিকা
    • পশ্চিম বাংলার পত্রিকা
  • স্ট্যাটাস
  • bangla problem ??
  • যা পড়ছি

মধ্যবিত্ত এবং বইমেলা

Posted by tusin ahmed on ফেব্রুয়ারি 5, 2017
Posted in: ডায়েরী. Tagged: একুশে বইমেলা, গল্প, বইমেলা, মধ্যবিত্ত. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

এক
রঞ্জু ক্লাস সেভেনে পড়ে। সারা বছর ধরে মাটির ব্যাংকে টাকা জমালো। উদ্দেশ্য অনেকগুলো টাকা হলে সে এবার বইমেলায় যাবে। এই জীবনে  কখনো সে বইমেলায় যায়নি। তাই গত বছর থেকে মাটির ব্যাংক টাকা জমানো শুরু করে। মাটির ব্যাংক থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে তা দিয়ে বইমেলা যাবে এবং বই কিনবে।

ক্লাস ৪ থেকে রঞ্জু বাবাকে প্রতিবছর বইমেলায়  নিয়ে যাওয়া কথা বলে। কিন্তু বাবা নিয়ে যায় না। বাবার ইচ্ছা থাকলে বইমেলায় নিয়ে যেতে পারবে না। কেননা  প্রতি মাসের শেষে বাবাকে হাজার খানেক টাকা ধার করতে হয় সংসার চালাতে গিয়ে।এই বেতনে সরকারি চাকরি করে পুরো একটি যৌথ পরিবার চালানো সহজ ব্যাপার নয়। তাই মাটির ব্যাংকটি এই বছর বইমেলা যাওয়া ভরসা।

রঞ্জু খুব ভালো করে বুঝতে পারে। বাবারও ইচ্ছা হয় সন্তানের সব চাহিদা পূরণ করতে। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় পারে না। এই নিয়ে রঞ্জু বাবা-মাকে কখনো প্রেশার দেয় না। Continue Reading

যায় যদি দিন এমনি করে যাক না

Posted by tusin ahmed on জানুয়ারি 6, 2017
Posted in: ডায়েরী. Tagged: নতুন বছর, নিউ ইয়ার, ২০১৬, ২০১৭. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

চলে এলো নতুন আরেকটি বছর। গত কয়েকদিন ফেইসবুক জুড়ে দেখলাম সবার কম পরিকল্পনা নতুন বছরকে নিয়ে। আমিও তাদের স্ট্যাটাস দেখে কিছুক্ষণ ভাবলাম নতুন বছরে আমরা পরিকল্পনা কি? আসলেই কি আমি করতে চাই এই বছরটি জুড়ে। পরক্ষণে মনে হলো গত বছর ঠিক এই সময় আমি নানা পরিকল্পনা করেছিলাম নতুন বছর নিয়ে। কিন্তু পরিকল্পনা মত কিছুই করা হয়নি। তাই ঠিক করেছি চলতি বছর কোন পরিকল্পনা করব না। অনেকটা রবিঠাকুরের গানের ” যায় যদি দিন এমনি করে যাক না “।

গেলো বছরটি খুব এলোমেলো একটা বছর পার করলাম। চাকরি চাপে ব্লগে আগের মত লেখালেখি করতে পারেনি। ভেবেছিলাম ব্লগিং ঠিকভাবে করব। কেননা এই ব্লগই তো আমার ডায়েরী। জীবনের অনেক স্মৃতি কথা লিখে রেখেছি আমি এই ব্লগের পাতায়। এখানে অনেকগুলো পোষ্ট আছে প্রাইভেট করা । অনেক লিখি কিন্তু পরবর্তীতে আর তা পাবলিশ করা হয়নি। তবে নতুন বছরে মনে মনে ঠিক করেছি ব্লগে লিখব নিয়মিত। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত তা করতে পারি কিনা। তবে চেষ্টা থাকবে। তাই তো ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেসের বদলে একটা ডোমেইন নিয়ে নিলাম। যতদিন বেঁচে থাকবে ডোমেইনটা রাখব। আমি মনে যাওয়ার সাথে সাথে সাইট বন্ধ হয়ে যাবে। কি দরকার আমি মরে যাওয়ার পরে আমার হাবিযাবি লেখাগুলো বেঁচে থাকার।

shutterstock_260042183

Continue Reading

ঈদের পূর্বদিন

Posted by tusin ahmed on সেপ্টেম্বর 12, 2016
Posted in: ডায়েরী. Tagged: ঈদ, কুরবানি, গরু, তুসিন, বৃষ্টি. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলতেই দেখা গেলো বৃষ্টি পড়ছে। আমার রুমের বিছানা থেকে সরাসরি জানালা দেখা যায়। আমি আলো সহ্য করতে পারি না। সকালের সূর্যের আলো চোখে পড়বে তাই সব সময় পর্দা দিয়ে রাখি জানালায়। তবুও পর্দায় সামান্য ফাঁকা দিয়ে আমার দেখতে অসুবিধা হলো বৃষ্টি পড়ছে। আমি বৃষ্টি পছন্দ করি। বৃষ্টিমাখা একটা সকাল শুরু হলে মন্দ নয়। বৃষ্টি যেহেতু হচ্ছে তা উপভোগ করতে হবে। তাই বালিশের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে বৃষ্টির গান ছেড়ে ছিলাম।

“আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়লো তোমায় অশ্রু ভরা দুটি চোখ তুমি ব্যথার কাজল মেখে লুকিয়েছিলে ঐ মুখ।। বেদনাকে সাথী করে পাখা মেলে দিয়েছো তুমি কত দূরে যাবে……”

বৃষ্টি আমাকে নস্টালজি করে দেয়া। আর যদি বৃষ্টি ঘুম ঘুম চোখে দেখা দেয় তাহলে তো কথাই নেই। চিন্তা করতে শুরু করলাম কার ‘অশ্রু ভরা দুটি চোখ’ আমার মনে পড়ছে।

আজ ঈদের আগের দিন। ২৪ ঘন্টার পরে কুরবানি’র ঈদ। অথচ ছেলেবেলার মত সেই আবেগ পাচ্ছি না। কেমন যেন একটা অদ্ভূত অনুভূতি । মনে হচ্ছে, ‘এমন করে যায় যদি যাক না’ এরুপ একটা ভাব।

যতদূর মনে পরে ক্লাস ফোরে থাকা কালে ঈদের সময় আমি গরুর বাজারে গিয়েছিলাম। কেন যেন গরুর বাজার আমাকে টানতো না। যদিও একটু ভয় কাজ করতো গরু গুতা খাওয়ার। যতটা সম্ভব আমি সব সময় গরু থেকে দূরে থাকতাম। তবে বাসায় অবাক করে এবার আমি গরুর বাজারে গেলাম।

14333120_10206417453106990_660375416971059913_n

ঈদের দুইদিন আগে  মানে রবিবার দুপুরে ৩ টায় ভাইয়া সাথে বের হই গরু কেনার উদ্দেশ্যে। আমাদের সাথে যে যারা কুরবানি দিবেন কয়েকজন সাথে ছিলো। কপাল ভালো গরুর হাট আমার বাসা থেকে বেশি দূরে নয়। ইস্টানহাউজিং গরুর হাট থেকেই এক ঘন্টার মধ্যেই গরু কেনা পর্ব শেষ হলো।

রাস্তার দুপাশে গরু নিয়ে যাচ্ছে সবাই। সবার মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব। গরুর দাম কত তা নিয়ে চলছে নানা গুজব ও কথাবার্তা। আহা এটাই ঈদের আনন্দ। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। শত দু:খ কষ্ট ভুলে ঈদের দিনটাতে যেন সবাই ভালোভাবে কাটাতে পারে এই কামনা।

জীবন সুন্দর ! আহা আজ এই বসন্তে

Posted by tusin ahmed on অগাষ্ট 1, 2016
Posted in: ডায়েরী. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলোর আবেগ অনুভূতি গুলো ধীরে ধীরে শেষ হয় যায়। একটু বড় হওয়ার পর প্রথমে তাদের টেনশন থাকে নিজের পরিবারকে কিভাবে সুখী রাখা যায়। বাবা হয়ত সরকারি চাকরিজীবি বা অবসর গ্রহণ করেছে। নিজের পড়াশুনার খরচ নিজেকে বহন করতে হয় টিউশনি নামক পেশা দিয়ে বা পার্ট টাইম কোন জব করে। নাহলে যে মাঝ পথে পড়াশুনাটা বন্ধ হয়ে যাবে।

তারপর শুরু হয় এক নতুন যুদ্ধ নিজের পড়াশুনা, টিউশনি-কোচিং ক্লাস, ভার্সিটিতে ক্লাস। সব মিলিয়ে একটি যান্ত্রিক আর রোবটিক জীবন তাদের।

এর মাঝে ঈদ আসে। হয়ত নিজের জন্য কিছু না কিনে বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে টিউশনির সামান্য টাকাটি দিয়ে বাবা-মা জন্য পোশাক কিনে নেয়। বাবা-মা যখন বলে, কিরে তুই কিছু কিনবি না? ছেলেরা তখন চোখের পানি আড়াল করে হাসি-মাখা মুখে বলে, আরে আমি তো বড় হয়ে গেছি। ড্রেস আছে অনেক। কিনতে হবে না।

হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তাদের দেখা মিলে প্রেম নামক একটি অনুভূতির সাথে। আহা! অনুভূতিগুলো। দুইজনের একত্রে প্রথম রিকশা চলা- বৃষ্টিতে ভিজা, পরবর্তীতে সময় নিয়ে নানা ভাবনা, নানা কল্পনা। বছর ঘুরতেই প্রিয় মানুষটির বিয়ে হয়ে যাবে নিজ চোখের সামনে। ছেলে যোগ্য নয়, ছেলের টাকা নেই, ছেলের ব্যবসা নেই, ছেলে ভালো চাকরি করে না, ছেলের ক্যারিয়ার নেই এরুপ নানা অভিযোগের মাথায় নিয়ে ছলছল চোখে প্রিয় মানুষটার থেকে দূরে চলে যায়। চুপ করে সব চাপা দিয়ে সহ্য করবে ছেলেটা।

এরপর শুরু হয় আরেক যুদ্ধ। নিজের জীবন, ক্যারিয়ার, পরিবার। হয়ত ছেলেটি চেয়েছিলো লেখক হতে কিন্তু পরিবার বা সমাজের দিকে তাঁকিয়ে কোন কপোর্রেট জবে ঢুকবে।

সময় চলে যাবে। মধ্যবিত্ত ছেলেগুলো সারাদিন থাকবে হাসি-খুশি কাজে বিজি। মাঝ রাতে ভেঙ্গে যাবে এধুম। নিজের স্বপ্নের সাথে বাস্তব মিলিয়ে দেখবে। তখন নিজকে মনে হয় একাকী। কাঁদলে যেন শব্দ না হয় তাই মাথার উপর বালিশ দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদবে কিছুক্ষণ। রাত যত গভীর হবে কান্না’র মাত্রা বাড়বে। এক সময় ঘুমিয়ে যাবে। আবার শুরু হবে যান্ত্রিক জীবন।

তবুও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা বলবে জীবনটা সুন্দর ‪#‎life_is_beautiful‬। আহা আজ এই বসন্তে।

কোথায় যাচ্ছি……..

Posted by tusin ahmed on জুলাই 24, 2016
Posted in: ডায়েরী. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

এই জগতে চলতে গিয়ে মাঝে মাঝে থমকে যেতে হয়। মনে হয় আসলে আমি যাচ্ছি কোথায়? আমি কি চাই? আমার লক্ষ্যে কি? আমার করনীয় কি? আসলে কি আমি যা চাই তাই করছি?

এই ভাবনাগুলো আমাদের মাঝে মাঝে এমনভাবে আক্রমণ করে যে মনে হয় মাথাটা কেটে ফেলে দেই। আর চিন্তা করতে চাই না। সেই সময় একটা মানসিক যন্ত্রণা কাজ করে। নিজের ভিতরে আরেকটা নিজেকে অস্থিত্ব জাগ্রত হয়। তখন বিবেক আর মনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকাটা খানিকের জন্য কষ্টকর মনে হতে পারে। ধীরে ধীরে জগতের স্রোতের সাথে আমরা হারিয়ে যাই। এই হারিয়ে যাওয়া সময়টা আমাদের বিবেক কাজ করতে গিয়ে থেমে যায়।

এই তো কিছুদিন আগে একই ধরনের অনুভূতি আমাকে আক্রমণ করে। কিভাবে এই অনুভূতি থেকে মুক্তি পাব তা চিন্তা করতে গিয়ে সারা দিন পর হলে গেলো? নিজেকে বড়ই অপদার্থ মনে হচ্ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। Continue Reading

একদিন বনলতা সেনের আঙ্গিনায়

Posted by tusin ahmed on জুন 4, 2016
Posted in: ভ্রমন. Tagged: অ্যাপবাজার, নাটোর, ফল উৎসব, বনলতা সেন, বিপ্লব. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

অলস দুপুর, সূর্যের তাপের কারনে গরম প্রচন্ড। তবে দক্ষিনা বাতাস কিছুক্ষন পর পর ঠান্ডা বাতাস দিয়ে শীতল রাখার চেষ্টা করছে পরিবেশ। যমুনার একটি শাখা নদীর পাশেই গাছের নিচে চেয়ারে বসে আছে  ১৫-২০ জন তরুন। অনেকেই হাতে ডাব, তৃপ্তি করে খাচ্ছে। এই গরমে ডাবের পানি, দক্ষিনা বাতাস, নদী, গাছের ছায়া সব মিলে এক অপূর্ব পরিবশ। গরম দুপুরটি যেন অন্যরকম চমৎকার একটি দুপুরে রুপ নিলো।

বলছি হঠাৎ প্ল্যান করে নাটোরে ঘুরেতে আসা চমৎকার একটি দুপুরের কথা। এক ঝাঁক স্বপ্নময়ী, হাসিখুশি মানুষের সাথে ট্যুরটা বেশ উপভোগ ছিলো। একটু পেছনের গল্পে যাই।

শবে বরাত রাতে ঘুমাতে পারেনি। মাত্র এক ঘন্টার মত ঘুম হয়েছে। সকালে ৭টার মধ্যে চলে গেলাম অ্যাপবাজারের অফিসের সামনে। আরাফাত ভাইয়ের সাথে দেখে। তারপর বিপ্লব ভাই আসলো। হ্যা বিপ্লব ভাই সম্পর্কে একটু পরিচয় করিয়ে দেই।

বিপ্লব ভাই আমার দেখা হাসিখুশি, উৎসাহী, ভিন্নভাবে চিন্তা করে এরুপ মানুষগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রচন্ড প্রেসারের মধ্যেও কিভাবে হাসিখুশি থাকতে হয় এই মানুষটিকে দেখলে বুঝা যায়। কাজ পাগল হাসিখুশি এই মানুষটি পরের দিন ভারত যাবে সন্তানের চিকিৎসা করতে। তবুও এই ট্যুর প্ল্যান বালিত করেনি। চোখে মুখে চিন্তা ছাপ নেই, হাসিখুশি, আড্ডা মাতিয়ে  শেষ করলো ঝটিকা নাটোর ট্যুর। বিপ্লব ভাই সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানান আছে। টেকশহর ডটকমে এই ইন্টারভিউটা পড়লেই বুঝা যাবে।

বিপ্লবভাই, আরাফাত ভাই, আমি একত্রে সকালের নাস্তা করলাম। তারপর এলো অ্যাপবাজারের টিম। ফল উৎসব ট্যুরের যখন প্ল্যান হচ্ছিল ফেইসবুকে, তখন অনেকই বলেছিলো আসবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাই এলো না। যারা এলো সবাইকে নিয়ে গাড়ি ছাড়লো সকাল ৮টার দিকে।

তিনটি গাড়ি ছেড়ে যায় নাটোরের উদ্দেশ্য। একটি প্রাইভেট কার, দুইটি মাইক্রো বাস। সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে মোট দশজন উঠে। আমার পাশে বসল এক সময়ের সাংবাদিক, লেখক এবং নারীদের হৃদয়ে ঝড় তোলা আরজে সাকিব ভাই। অপর পাশে বললো  টেকশহরের রাইটার, অ্যাপবাজারে টিম লিড এবং অ্যাপ ডেভেলপার রুবেল ভাই।

গাড়ি ছাড়ার সাথে সাথে গাড়িতে গান বেজে উঠলো। কিন্তু এমন সব অদ্ভূত গান বাজা শুরু হলো তা শুনে সবাই বিরক্ত হলো। একটা সময় আমরা নিজেরা  গান গাওয়া শুরু করলাম। রুবেল ভাই শুরু করলো “ ভালো আছি ভালো থেকো’ গানটি। সাথে আমরা সবাই সুর মিলানো শুরু করলাম।

20160523_134845

একে একে করে আমরা ৪-৫টি গান একত্রে খাইলাম। গানের পর্বে শেষ করতেই শুরু হলো জোকস বলার প্রতিযোগিতা। সাকিব ভাই ঘোষণা দিয়ে দিলো, যে ভালো জোকস বলতে পারবে তার জন্য রয়েছে চকলেট। রুবেল ভাই চকলেট খাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে শুরু করলো জোকস বলা। তারপর জিতে নিলো চকলেট।

একে একে সবাই জোকস বলল। জোকসগুলো শুনার পর আমরা সবাই চিনি খাওয়া, ট্রাক ও স্কুটার চালনো, শয়তান মারা ইত্যাদি বিষয়ে পিএইচিডি অর্জন করে ফেলি। এই জোকসগুলো কি ছিলো? থাক না বলি। থাক না কিছু রহস্য।

আনলিমিটেড আড্ডা দিতে দিতে কখন যে ৬ ঘন্টা পার হলে গেলো আমি টের পেলাম না। ১.৩০ এর দিকে আমরা পৌছলাম নাটোরের উত্তরা গনভবন। সবাই মিলে সেই গনভবন ঘুরে দেখলাম। সবাই আগেভাগে গাড়িতে পৌছে গেলেও আমি, সাকিব ভাই এবং রাসেল ভাই ভবনটি আরও ঘুরে ঘুরে দেখলাম।

20160523_133028

তারপর আমরা পৌছলাম রবিন ভাইয়ের বাড়িতে। গাড়ি সেখানে থামল আমরা দেখতে পেলাম ডেকোরেশন করা একটা জায়গা। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মনে হয় কোন বিয়ে বাড়ি। কিন্তু পরক্ষনে আমাদের অবাক হতে হলো, এত সব আয়োজন আমাদের জন্য। পুরাই বুফে স্টাইল।

খাবারের মেনু’তে যা ছিলো তা দেখে রীতিমত চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। এতে আয়োজন অকল্পনীয়। মেনুগুলো একটু বলছি, সাদাভাত, মুরগি রোস্ট, গরু,ডাল, কাবাব, কাঁচাগোল্লা, মিষ্টি, দই, তরমুজ, জামরুল, পেয়ারা, আম, নারিকেল, তালের ডাব, কেক। খেতে খেতে আমাদের সবার অবস্থা খারাপ।

20160523_142918

দুপুরের খাওয়া শেষ করে নদীরপাড়ে বসে নারিকেল খেলো সবাই। সেটার কথা লেখার শুরুতে বলেছি। চমৎকার পরিবেশ।

তারপর দলগতভাবে সবাই মিলে লিচু  গাছ থেকে পেড়ে লিচু খাওয়া হলো। আমার জীবনে প্রথম এত এত লিচুর গাছ দেখলাম এবং গাছ থেকে পেরে লিচু খেলাম।আনলিমিটেড লিচু খাওয়া।

13263718_1322566247776803_1452895404472697229_n

লিচু খাওয়ার পর শুরু হলো ক্রিকেট খেলা। খেলায় আমার দল বিশাল ব্যবধানে হারলাম। আমাদের দলের রুবেল ভাইয়ের পা কেটে যায় ব্যাটিং করতে গিয়ে। খেলে শেষ কেক কাটা, আম খাওয়া, পান খাওয়া শেষ করে বাসার উদ্দেশ্য রওনা।

সর্বশেষ বলা যায়, চমৎকার একটা ভ্রমন ছিলো এটি।

এক নজরে ট্যুরটির ভিডিও:

অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও যেভাবে ইন্সটল করতে হবে

Posted by tusin ahmed on জুন 3, 2016
Posted in: এন্ড্রয়েড, ডায়েরী. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

স্মার্টফোনের এই যুগে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে না এরুপ ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অ্যাপ্লিকেশনের সহজলভ্যতার কারনে ছোট থেকে বড় সবার কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অ্যান্ড্রয়েড। ডেভেলপাররা যেন ব্যবহারকারীদের জন্য সহজেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে সেই লক্ষ্যে ২০১৩ গুগল অ্যান্ড্রয়েড  স্টুডিও  নামে বিশেষ একটি ডেভেলপার এনভায়রনমেন্ট সফটওয়্যার উন্মুক্ত করে। ডেভেলপাররা এটি দিয়ে একই সাথে কোডিং এর পাশাপাশি ডিভাইসগুলোতে ফলাফল ও দেখতে পারেন।

সফটওয়্যারটির বিশেষ একটি সুবিধা হল অ্যাপ তৈরির সময় সেটির প্রিভিউ দেখতে পারনে। চাইলে বিভিন্ন সাইজের স্ক্রিনে ও বিভিন্ন ডিভাইসের অ্যাপটি কেমন দেখাবে তা দেখে ফেলা যাবে। এর ফলে অ্যাপ তৈরি করে তা দেখার জন্য কোন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস না থাকলেও চলবে। এছাড়া ডিজাইন, অপটিমাইজেশন সহ সবগুলো দিকই আরো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিওতে।

android studio-techshohor

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার যারা হতে চায় তাদের প্রথম ধাপ হলো অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা। অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় কিভাবে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হয় সেই সম্পর্কে জানে না। যদিও অন্য সাধারণ সফটওয়্যার ইন্সটল করার মতই করেই অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ইন্সটল করা যায়। কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও  ইন্সটল করতে হবে তা ধাপে ধাপে  তুলে ধরা হলো এই টিউটোরিয়ালে।

প্রথমে ব্যবহারকারীদের এই ঠিকানা থেকে  ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে হবে। সফটওয়্যার সাইজ ১ গিগাবাইটের বেশি। তাই  ইন্টারনেট সংযোগ ভালো হতে হবে। Continue Reading

পোস্ট ন্যাভিগেশন

← Older Entries

  • আমরা যারা বই পড়ি

  • স্ট্যাটাস আপডেট

    আমি চাই, কখনো ভালোবাসার খোঁজ পেলে কেউ যেন আমায় না বলে, ‘বাহ, দুজনকেই পাশাপাশি বেশ মানিয়েছে তো’।
    বরং যেন বলে, ‘বাহ, দুজনকেই একসাথে সুখী লাগছে তো খুব’।

    (
    (আপডেটের সময়ঃ ২.২৯ বিকাল মিনিট, ৩.১০.২০১২)

  • ফেইসবুকে জল-জোছনা

    ফেইসবুকে জল-জোছনা
  • নিচের ড্রপবক্স থেকে আপনি যে কোন বিভাগ পড়তে পারেন সহজেই। অর্থাৎ এটাই সূচীপত্রঃ

  • হুমায়ন আহমেদ,হুমায়ন আহমেদ এর বই ডাউনলোড,হিমু,মিসির আলি,হুমায়ন মারা গেছে হুমায়ন আহমেদকে নিয়ে জল-জোছনায় লেখাগুলো
  • Enter your email address to subscribe to this blog and receive notifications of new posts by email.

    Join 389 other followers

  • নতুন যে লিখা

    • মধ্যবিত্ত এবং বইমেলা
    • যায় যদি দিন এমনি করে যাক না
    • ঈদের পূর্বদিন
    • জীবন সুন্দর ! আহা আজ এই বসন্তে
    • কোথায় যাচ্ছি……..
    • একদিন বনলতা সেনের আঙ্গিনায়
    • অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও যেভাবে ইন্সটল করতে হবে
    • স্বল্পদৈর্ঘ চিরকুট
    • তোমার মুখের হাসিখানা
    • গগন বিহারী আপন মনে: পর্ব এক
  • আমার আর্কাইভ

  • সূচীপত্র

    নিচের ড্রপবক্স থেকে আপনি যে কোন পোস্ট পড়তে পারেন সহজেই। অর্থাৎ এটাই সূচীপত্রঃ

  • যেখানে আমি আছি

    স্যামত্তয়ারইন ব্লগ
    প্রথম আলো ব্লগ
    বিজ্ঞান প্রযুক্তি
    টেকটিউনস
    সরব

  • সর্বোচ্চ জোছনার আলো যেখানে পড়েছে

    • youtube থেকে ভিডিও Download কোন software ছাড়া
    • "হেপাটাইটিস বি" কি ?? লক্ষন ও রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি(সচেতনতা প্রয়োজন)
    • অবশেষ ভাইয়া যখন বর
    • স্ট্যাটাস
  • যার ব্লগ দেখেছে

    free counters
  • জল -জোছনায় প্রবেশ

    • রেজিষ্টার
    • লগ ইন
    • এন্ট্রি ফিড
    • কমেন্ট ফিড
    • WordPress.com
Create a free website or blog at WordPress.com.
বাতিল

 
Loading Comments...
মন্তব্য দিন
    ×
    Privacy & Cookies: This site uses cookies. By continuing to use this website, you agree to their use.
    To find out more, including how to control cookies, see here: Cookie Policy