স্মার্টফোনের এই যুগে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে না এরুপ ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অ্যাপ্লিকেশনের সহজলভ্যতার কারনে ছোট থেকে বড় সবার কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অ্যান্ড্রয়েড। ডেভেলপাররা যেন ব্যবহারকারীদের জন্য সহজেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে সেই লক্ষ্যে ২০১৩ গুগল অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও নামে বিশেষ একটি ডেভেলপার এনভায়রনমেন্ট সফটওয়্যার উন্মুক্ত করে। ডেভেলপাররা এটি দিয়ে একই সাথে কোডিং এর পাশাপাশি ডিভাইসগুলোতে ফলাফল ও দেখতে পারেন।
সফটওয়্যারটির বিশেষ একটি সুবিধা হল অ্যাপ তৈরির সময় সেটির প্রিভিউ দেখতে পারনে। চাইলে বিভিন্ন সাইজের স্ক্রিনে ও বিভিন্ন ডিভাইসের অ্যাপটি কেমন দেখাবে তা দেখে ফেলা যাবে। এর ফলে অ্যাপ তৈরি করে তা দেখার জন্য কোন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস না থাকলেও চলবে। এছাড়া ডিজাইন, অপটিমাইজেশন সহ সবগুলো দিকই আরো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিওতে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার যারা হতে চায় তাদের প্রথম ধাপ হলো অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা। অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় কিভাবে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হয় সেই সম্পর্কে জানে না। যদিও অন্য সাধারণ সফটওয়্যার ইন্সটল করার মতই করেই অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ইন্সটল করা যায়। কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ইন্সটল করতে হবে তা ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো এই টিউটোরিয়ালে।
প্রথমে ব্যবহারকারীদের এই ঠিকানা থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে হবে। সফটওয়্যার সাইজ ১ গিগাবাইটের বেশি। তাই ইন্টারনেট সংযোগ ভালো হতে হবে।
ডাউনলোড শেষ হওয়ার পর অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ফাইলটিতে ক্লিক করতে হবে। তারপর কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। স্ক্রিনে নতুন দেখাতে কিছুক্ষন লাগবে। কিছুক্ষন পর ‘welcome to android studio’ বার্তা প্রদর্শিত হবে। তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
তারপর select components to install অপশনটি দেখাবে। যেখানে দেখাবে এই অ্যাপটি ইন্সটল করতে কতটুকু জায়গায় প্রয়োজন হবে। সেখান থেকে ‘next’ ক্লিক কর করে ‘i agree’ তে ক্লিক করতে হবে।
এরপর নতুন একটি পেইজ চালু হবে। সেখানে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ও এসডিকে কোন ড্রাইভে ইন্সটল করতে হবে তা নির্বাচন করে ‘next’ এ ক্লিক করতে হবে।
‘configuration settings’ অপশনটি চালু হবে এবার। সেখান থেকে নিধারণ করতে দিতে হবে অ্যান্ড্রয়েড ইমোলেটর প্রসেসের জন্য কতটুকু জায়গা নিধারণ করতে হবে। ইমোলেটলের সাহায্যে ভার্চুয়াল ডিভাইস তৈরি করে অ্যাপ্লিকেশনটি রান করে দেখা যাবে। এই ধাপে কম্পিউটারের র্যামের উপর নির্ভর করে মেমোরি নিধরান করতে হবে।
অ্যান্ড্র্য়েড স্টুডিও অ্যাপ্লিকেশনটি ডেস্কটপ শর্টকাট হিসেবে আইকন দেখতে না চাইলে ‘do not create shortcuts’ অপশনটিতে ঠিকচিহ্ন দিয়ে ‘install’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
তারপর ইন্সটল শুরু হবে। সফটওয়্যার ইন্সটল হতে কিছুটা বেশি সময় নিবে। সময়টি নির্ভর করবে ব্যবহারকরীদের কম্পিউটারের কনফিগারেশনের উপর। তবে ৬-১৫ মিনিট সময় নিতে পারে ইন্সটল প্রক্রিয়া শেষ হবে। সম্পূর্ণ ইন্সটল শেষ হলে ‘finish’ এ ক্লিক করতে হবে।