সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলতেই দেখা গেলো বৃষ্টি পড়ছে। আমার রুমের বিছানা থেকে সরাসরি জানালা দেখা যায়। আমি আলো সহ্য করতে পারি না। সকালের সূর্যের আলো চোখে পড়বে তাই সব সময় পর্দা দিয়ে রাখি জানালায়। তবুও পর্দায় সামান্য ফাঁকা দিয়ে আমার দেখতে অসুবিধা হলো বৃষ্টি পড়ছে। আমি বৃষ্টি পছন্দ করি। বৃষ্টিমাখা একটা সকাল শুরু হলে মন্দ নয়। বৃষ্টি যেহেতু হচ্ছে তা উপভোগ করতে হবে। তাই বালিশের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে বৃষ্টির গান ছেড়ে ছিলাম।
“আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়লো তোমায় অশ্রু ভরা দুটি চোখ তুমি ব্যথার কাজল মেখে লুকিয়েছিলে ঐ মুখ।। বেদনাকে সাথী করে পাখা মেলে দিয়েছো তুমি কত দূরে যাবে……”
বৃষ্টি আমাকে নস্টালজি করে দেয়া। আর যদি বৃষ্টি ঘুম ঘুম চোখে দেখা দেয় তাহলে তো কথাই নেই। চিন্তা করতে শুরু করলাম কার ‘অশ্রু ভরা দুটি চোখ’ আমার মনে পড়ছে।
আজ ঈদের আগের দিন। ২৪ ঘন্টার পরে কুরবানি’র ঈদ। অথচ ছেলেবেলার মত সেই আবেগ পাচ্ছি না। কেমন যেন একটা অদ্ভূত অনুভূতি । মনে হচ্ছে, ‘এমন করে যায় যদি যাক না’ এরুপ একটা ভাব।
যতদূর মনে পরে ক্লাস ফোরে থাকা কালে ঈদের সময় আমি গরুর বাজারে গিয়েছিলাম। কেন যেন গরুর বাজার আমাকে টানতো না। যদিও একটু ভয় কাজ করতো গরু গুতা খাওয়ার। যতটা সম্ভব আমি সব সময় গরু থেকে দূরে থাকতাম। তবে বাসায় অবাক করে এবার আমি গরুর বাজারে গেলাম।
ঈদের দুইদিন আগে মানে রবিবার দুপুরে ৩ টায় ভাইয়া সাথে বের হই গরু কেনার উদ্দেশ্যে। আমাদের সাথে যে যারা কুরবানি দিবেন কয়েকজন সাথে ছিলো। কপাল ভালো গরুর হাট আমার বাসা থেকে বেশি দূরে নয়। ইস্টানহাউজিং গরুর হাট থেকেই এক ঘন্টার মধ্যেই গরু কেনা পর্ব শেষ হলো।
রাস্তার দুপাশে গরু নিয়ে যাচ্ছে সবাই। সবার মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব। গরুর দাম কত তা নিয়ে চলছে নানা গুজব ও কথাবার্তা। আহা এটাই ঈদের আনন্দ। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। শত দু:খ কষ্ট ভুলে ঈদের দিনটাতে যেন সবাই ভালোভাবে কাটাতে পারে এই কামনা।